উন্নত ও অর্থনৈতিক শোষণমুক্ত সমাজ গঠনের লক্ষ্যে বর্তমান বাংলদেশ সরকার কারিগরি ও ভোকেশনাল শিক্ষা বিস্তারের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষিত জনগোষ্ঠিকে সম্পৃক্ত করে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক কর্মকান্ডে জড়িত করে সমাজ, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং আত্মকর্মসংস্থানে সূবর্ণ সুযোগ করে দিয়েছেন। এ সকল কোর্সের সাথে সঙ্গতি রেখে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধীনে (টি.ভি.ই.আই)-টেকনিক্যাল এন্ড ভোকেশনাল কোর্সসমূহ চালু করেছেন। এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অনুমোদিত শিক্ষাক্রম অনুযায়ী ৪ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সসমূহ পরিচালনা করে। কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সিলেবাস অনুযায়ী এখানে শিক্ষা প্রদান করা হয় এবং পরীক্ষাসমূহ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত। বাংলাদেশ কারিগরি বোর্ড ও ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মধ্যে সম্পাদিত স্মারক চুক্তি অনুয়ায়ী অত্র ইন্সষ্টিটিউট থেকে পাসকৃত ডিপ্লোমা ছাত্র ছাত্রীদের বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষবোর্ড সনদ প্রদান করে এবং ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভর্সিটির বোর্ডের সহিত সমঝোতা করে (এম.ও.ইউ) টেকনিক্যাল এন্ড ভোকেশনাল এডুকেশন ইন্সষ্টিটিউট-টি.ভি.ই.আই এ ডিপ্লোমা শিক্ষাক্রম শুরু করেছে। এই প্রতিষ্ঠানের পাসকৃত ছাত্র-ছাত্রীরা বোর্ড পরীক্ষায় ১০০%সাফল্য লাভ করেছে এবং দেশে -বিদেশে স্বণামধন্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। আমাদের দেশের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয় ও পলিটেকনিক্যাল শিক্ষকদের দ্বারা পাঠদান করা হয়। ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কর্তৃক পরিচালিত টেকনিক্যাল এন্ড ভোকেশনাল এডুকেশন ইন্সষ্টিটিউিট নিঃসন্দেহে একটি মানসম্মত, উপযুক্ত এবং নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান।
টি.ভি.ই.আই ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কর্তৃক পরিচালিত যা বাংলাদেশে একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৭ সালে মরহুম আলহাজ্ব প্রফেসর ড. এ.বি.এম মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারী প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। তিনি ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি নামে একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। তার জ্ঞান, বুদ্ধি, উচ্চাশা, উদ্দীপনা সমাজের মধ্যবিত্ত ছাত্রদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছেন। সে জন্য তার স্লোগান হলো ; “জ্ঞানই শক্তি”। তিনি উচ্চতর সমাজ গঠনে মানুষের নৈতিক জ্ঞানের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন যা অবশ্যই জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে যথাঃ সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে প্রতিফলিত হবে এবং শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে যার বিস্তৃতি লাভ করবে। তিনি সমাজের সকলের জন্য সমান সুয়োগ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে কাজ করেছেন।
এই অতিরিক্তবৈশিষ্ট্যসমূহ আমাদেরকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে অন্যতম বানায় যা সময় উপযোগী, সত্যবাদিতা, সময়ানুবর্তিতা শেখায়।